পশ্চিমের নিহিলিজমঃ- করোনার ভুবনে নতুন চেতনা
“In
Order to political Change” হলো রাশিয়ার ১৮৮১ সালের দিকে নিহিলিজম (Nihilism) এর গুরুত্বপূর্ণ
মুভমেন্টের রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষা। আকাঙ্ক্ষার মধ্যে দুটো চেতনাগত বিষয় লুকিয়ে আছে। একটি
হলো, সকল ধরনের মতবাদের প্রত্যাখ্যান যা একনায়কতান্ত্রিকতাকে অগ্রসর করাতে সহায়তা করে
এবং দ্বিতীয়টি হলো সর্বসাধারণের উপর যে সকল আইন বা বিধান অপ্রনিধানযোগ্য এবং সাংবিধানিক
নয় তাকে ছিন্ন করে দেওয়ার মাধ্যমে মুক্ত করা। এর অর্থ হলো, নতুন করে “Humanism” এর আইডিয়াকে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনার
মাধ্যমে খুঁজে বের করা। ২০২০ সালে দাঁড়িয়ে এই নিহিলিজমের প্রয়োগ পশ্চিমারাই করে যাচ্ছে
কিন্তু চেতনাগত ধারণা নতুন করে “Humanism” এর আইডিয়াকে খোঁজার মাধ্যমে নয়
বরং ধ্বংসের মাধ্যমে। আমেরিকা নতুন করে এই মহামারী রোগের থেকে উত্তরণের জন্য যে পন্থা
অবলম্বন করেছেন তা হলো চীনকে নতুন করে রেসিজমের ফর্মে সাজানো, হংকং কে চীনের নয়া মেডিকেল
ব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে উস্কানী দেওয়া এবং সমরাস্ত্রকে নতুন ফর্মে সাজানো। এর জন্য পশ্চিমা
ফ্রান্স,জার্মানী এবং আমেরিকা যে শব্দটি ব্যবহার করছে তা হলো “weaponize the coronavirus”. আমেরিকার ন্যারেটিভ বিশেষত ট্রাম্পের রিপাবলিকানদের
ন্যারেটিভ এখানে একেবারেই ক্লিয়ার। তারা শুধুমাত্র সে ধরনের মেডিসিন চাচ্ছে যা হবে
শুধুমাত্র আমেরিকার জন্য এক্সক্লুসিভ,দুনিয়ার অন্য প্রান্ত থেকে তাদের মাথা ব্যথা
নেই। অর্থাৎ পৃথিবীতে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং এর অর্থ বলতে আমরা সাধারণ আমজনতা যা বুঝি,
কিছু সময়ের জন্য অন্যদের থেকে দূরে থাকা যেন নিজেকে সেইফ করা যায় সেখানে পশ্চিমা মডেলে
সামাজিক দূরত্ব একটা রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষা যার অর্থ হলো , “We are Totally Exclusive from the other part.” এটাকে বলা হয় নিহিলিজম।
আরো ব্যাখ্যাতীয় বিশ্লেষণে একে বলা হয় “Imperial
Nihilism”। পশ্চিমাদের আকাঙ্ক্ষা তাই নতুন
করে কোনোভাবেই মানবিকতাবাদকে সাজানো নয় বরং আমাদের মতো নিম্নগোত্রের জাতিদের এবং তার
চিহ্নিত শত্রুদের প্রান্তিকরণকে জোরদার করে দিয়ে Post Apocalyptical Politics কে আরো জোরদার করে দেবার প্রক্রিয়াই হলো পশ্চিমা
সাম্রাজ্যবাদী নিহিলিজম। ঘেটে চিত্র দেখি আসুন
প্রথম কেইস, চীন এবং কিউবানরা যে সময়টিতে পৃথিবীতে
এই মহামারীর বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়েছে চিকিৎসা ক্ষেত্রে ,অর্থাৎ মেডিকেল ট্রিটমেন্টে
বিশেষ করে কিউবান পলিসিতে যখন জাতীয়তাবাদ থেকে আন্তর্জাতিকতাবাদের দিকে শিফট করে নিয়ে
গিয়েছে ঠিক সেই সময় আমেরিকা চাচ্ছে হংকং এর নাগরিকদের মধ্যে চীন ভীতি এবং চীন-কিউবা
ভিত্তিক প্রজেক্টে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্যে। আমেরিকা দৈনিক প্রচুর অর্থ ব্যয় করে এসবের
জন্যে। একটা উদাহরণ দিলেই বুঝতে পারবেন, ২০১৮-১৯ এর একটি গবেষণা পত্রে উল্লেখ আছে যে
, কিউবার শুধুমাত্র ৫০,০০০ ডাক্তার সমগ্র পৃথিবীর ৬৭ টি দেশে কাজ করে, প্রত্যন্ত অঞ্চল্গুলোতে।
অনেকক্ষেত্রে সেই সকল লোকাল ডাক্তারদের দ্বারা তারা সাহায্যও পায় না। এমনও দেখা গিয়েছে
এদের মধ্যে কিছু ডাক্তারদের বেতন মাসিক মাত্র ২৫-৫০ ডলার। নিত্যদিনকার দ্রব্যাদি কিনতেও
তারা হিমশিম খায় তবুও তারা খেটে যায়। কিউবা যে কাজটা করে বা চীন সমগ্র বিশ্বে বর্তমানে
যে ডোনেশনের মাধ্যমে পিপিই বা মেডিকেল ইমার্জেন্সীর জন্য যা যা দিচ্ছে সেগুলো সব মতাদর্শিক।
তাহলে পশ্ন থাকতে পারে ,চীন কি ভেতর ভেতর সোশ্যালিস্ট/ কমিউনিস্ট? আমার উত্তর হলো,
যদি হ্যা হয় মতাদর্শিকগত জায়গা থেকে তাহলে হংকং যে আন্দোলনটি হচ্ছে বা রায়টের সৃষ্টি
হয়েছে তা কিন্তু “চীনের বিরুদ্ধে” স্পেসিফিক্যালি নয়, বরং “চীনের মতাদর্শ” কে চ্যালেঞ্জ
করছে। চীনের আজীবন রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক একটা দায় হলো সে সাপ্লাই চেইনকে একত্রবদ্ধ
করে রাখবে , যেটা সমাজতান্ত্রিক মডেল। হংকং এর মাথা ব্যথা এখানেই সেই সাথে আমেরিকারও।
পশ্চিমারা চাচ্ছে নতুন করে পোস্ট মর্ডানিজম বা উত্তর আধুনিকতাবাদকে সাজাতে যেন মানুষ
মহাখ্যানকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে। জাতিগত রাষ্ট্রে যাদের জাতীয়তাবাদের সহিত গণতন্ত্র
বিদ্যমান তাদের আপনি চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন না কারণ এই ধরনীতে সাধারণত ভোটতন্ত্রের
মাধ্যমে ক্ষমতা চেঞ্জ হয় কিন্তু চীনের আইডিয়া হলো মর্ডানিটির আইডিয়া বা আধুনিকতাবাদী
যার ক্ষমতাতন্ত্রকে গণতন্ত্র দিয়ে চ্যালেঞ্জ করা যায় না। পশ্চিমাদের মাথা ব্যথা এখানে,
কেন তাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এরও কিছু ফলাফল আছে-
ইতালীর আকাশে বাতাসে মুক্তভাবে চীনের জাতীয় সঙ্গীত
গাওয়ার পেছনে একটা অদ্ভুত বিষয় আমার চোখে পড়েছে, সাধারণের মধ্যে মর্ডানিটির আইডিয়া
নতুন ভাবে প্রকাশিত হচ্ছে। আপনি কি জানেন যখন মানুষ নতুন করে মর্ডানিজমকে খুঁজে পেতে
শুরু করে তখন সামগ্রিকভাবে গণতন্ত্রও প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে? আচ্ছা কিভাবে তাইতো? আসুন
একটু আমেরিকার দিকে। আমেরিকার গণতন্ত্র এবং ইরানের ক্ষমতাতন্ত্র একই। আমেরিকা তে গণতন্ত্র
বলতে আসলে কিছু নেই- এটাকে বলা হয় কর্পোরেটতন্ত্র অর্থাৎ কর্পোরেশন যেভাবে সাজাবে সেভাবেই
তার প্রতিনিধি নির্ধারিত হয়। একইভাবে ইরানে মুসলিম লিডারেরা যাকে বিশ্বাস করে তাকেই
সুপ্রীম লিডার হিসেবে গণ্য করা হয়। আমেরিকার ক্ষেত্রে স্বার্থ হলো কর্পোরেশনভিত্তিক
মুনাফা ও পুঁজির স্বার্থ। আমেরিকার নির্বাচনগুলোতে মেডিকেল সাপ্লাইয়ের জনবৈধকরণকে নগণ্য
দৃষ্টিতে দেখা হয় কারণ এই প্রজেক্টগুলোতে প্রথমত, তাদের অর্থনৈতিক স্বার্থকে সর্বোচ্চ
প্রায়োরিটি দিতে হবে এবং দ্বিতীয়ত এলিট শ্রেণীর সুযোগকে বর্ধিতকরণ করতে হবে। বায়োপলিটিক্সের
একটি ধারণা মাথায় রাখা উচিত, পৃথিবীর কোনো প্রান্তে কতোজন মানুষ মরলো বা না মরলো সেটা
নিয়ে এলিটদের মাথা ব্যথা নেই বরং তাদের মাথাব্যথা নিজেদের শরীর ও স্বাস্থ্যকে তারা
সংরক্ষণ করতে পারছে কিনা। তাদের সংরক্ষণ করতে পারলে রাষ্ট্রের লাভ বলে সরকার তাদের
বাঁচিয়ে রাখার জন্যে সংবিধানকে সাধারণের উপর দমনমূলক আইন দিয়ে গঠন করে এবং তাদের উপর
কর্পোরেট ট্যাক্স, প্রাতিষ্ঠানিক ট্যাক্সকে মওকুফ করে দেয়। এভাবে “Fundamentalist
Capitalism” এর জন্ম হয়। উদাহরণ দেখবেন?
“দ্যা সান” নিউজের মার্চ ১৫,২০২০ সালের দিকে একটি
রিপোর্ট বের করা হয়। সেখানে আমেরিকার ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি স্পষ্ট উক্তি রয়েছে –
“offered huge sums to a German company
in a bid to grab the coronavirus vaccine for Americans only.” খুবই অদ্ভুত। দ্যা মেইল নিউজে মার্চের ২০ তারিখ
প্রকাশ হয় – “German officials are trying
to stop the Trump administration from luring German biopharmeceutical company
CureVac to the US to get its experimental coronavirus vaccines exclusively for
Americans.” জার্মানের ভেতরের এক গোয়েন্দা
তথ্য মতে, ট্রাম্প প্রশাসন এখন জার্মানীর বিজ্ঞানীদের শুধুমাত্র আমেরিকার জন্য এক্সক্লুসিভ
করে বেধে রেখেছে এবং লক্ষ লক্ষ ডলার ব্যয় করছে শুধুমাত্র CureVac পাবার জন্যে। এ দিকে
ইরান ও ভেনিজুয়েলার উপর অবরোধ কড়াকড়িভাবে আরোপ করেছে যেন আমেরিকার কর্পোরেত ভিত্তিক
স্বার্থ রক্ষা হয় এবং তাদের উপর অমানবিক ক্ষমতায়ন সৃষ্টি করতে পারে। আমেরিকার চোখে
অন্যান্য রাষ্ট্রগুলো সরাসরি ‘Antagonist’ হয়ে পড়ছে। খেয়াল রাখতে হবে পশ্চিমা ফান্ডামেন্টালিজম
এখান থেকেই যখন Antagonis হয়ে যায় আমেরিকার চোখে। একইভাবে ভারত-ইন্দোনেশিয়া-রাশিয়ার
গুরুত্ব হারাচ্ছে আমেরিকার কাছে। ফলে প্রতিটি রাষ্ট্রের প্রধান শাসকগুলো আরো ভয়ানক
হয়ে যাচ্ছে। তথ্য চুরি বা গোপন করার মতো প্রয়াসও তারা নিয়েছে। ইন্দোনেশিয়া সেই দেশ
যে দেশে মানুষদের করোনাতে আক্রান্তের সংখ্যা এবং মেডিকেল সাপ্লাইয়ের পরিমাণে কম বেশি
দেখিয়ে সাধারণের মধ্যে আতঙ্ক,ভয়ভীতি প্রবেশ করিয়ে দিয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার শুধুমাত্র টার্গেট
ধনিক শ্রেণিদের যেন স্বাস্থ্যরক্ষা হয় সবার আগে সহজেই।
আমেরিকার এখন টার্গেট Cure System এর মনোপলি তৈরি
করা এবং তার নিজস্ব অর্থনৈতিক অবস্থা ও সক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখা। এর জন্য তার প্রয়োজন
গণতন্ত্র যে শুদ্ধ সহিহ ভাবে কাজ করে এবং জাতীয়তাবাদী অর্থনীতি যে গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রের
জন্য তা বোঝানো। এর জন্যে তাকে চ্যালেঞ্জ করতে হবে চীনকে। অপরদিকে চীনের সবচেয়ে আশ্চর্যকর
ব্যাপার হলো ,চীনে মানুষ সুস্থ হয়ে ফিরছে খুবই দ্রুত এর জন্য তারা দিন রাত আমাদের দেশের
মতো রাতের বেলা আতশবাজি না ফুটিয়ে বরং বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোতে এইড/সাহায্যের হাত
বাড়িয়ে দিচ্ছে। কিন্তু এই মতাদর্শ তো কোনোভাবেই ক্যাপিটালিজমকে সাপোর্ট করে না! U.S.
Centers for Disease Control and Prevention এর সূত্রানুসারে, শরীরের যে সকল লক্ষণ
ও এর প্রতিরোধের জন্য যা যা করণীয় মেডিকেলের টার্মে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভাষণের সাথে
সম্পূর্ণ সংঘাত সৃষ্টি করে। এমনকি সংখ্যা নিয়েও। হোয়াইট হাউজের ভাষণগুলোতে কয়েকটি কথা
স্পষ্ট, “এটা আমাদের সমস্যা নয়” , “চীন সব সমস্যার মূলে” , “ ভাইরাস এখানে নেই, আছে
মানুষের মনে” ইত্যাদি কথাবার্তা অযাচিত হলেও ফান্ডামেন্টাল ক্যাপিটালিজমের চেহারা সর্বদাই
এমনই। যেমন নিচের উদাহরণটাই দেখুন
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান Tedros Adhanom
Ghebreyesus এর ভাষায় ,” About
3.4% of reported COVID-19 cases have died...By comparison, seasonal flu
generally kills far fewer than 1% of those infected.” উলটো
দিকে ট্রাম্প প্রশাসনের ভাষায় – “Well, I
think the 3.4 percent is really a false number. Now, this is just my hunch, and
— but based on a lot of conversations with a lot of people that do this,
because a lot of people will have this, and it's very mild.”
কাকে কিভাবে বিশ্বাস করবেন? এর কারণও আছে যোগাযোগতত্ত্বের
ভাষায়। যাকে আমরা বলি “বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি”। এটি অনেকটা আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের নীতির
প্রতি যখন ১৯৯৯ সালে সিয়াটলে ডব্লিওটিও এর সম্মেলনে গণপ্রতিবাদের রূপ নেয় আমেরিকা ও
বিশ্বব্যাংকের বিরুদ্ধে তখন পশ্চিমা মিডিয়া দ্বারা তাদের নানা ভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়-
কখনও অবমাননাকর আবার কখনও শত্রুভাবাপন্ন। ফলে আন্দোলনকারীদের পতন হয়ে সরাসরি প্রোপাগান্ডা
দ্বারা। পশ্চিমার টার্গেট এখন মিডীয়া দিয়ে চীনের অর্থনীতিতে ও তার সাহায্যকে দেখাবে
বিশৃঙ্খলা আকারে এবং তাদের পশ্চিমের এলিট শ্রেণীদের মিথ্যা কথা ঢেকে যাবে। আপনার কি
মনে হচ্ছে না, যখন কিউবা সারাদেশে করোনা প্রতিরোধের জন্য ডাক্তারদের বিগ্রেড ফোর্স
নামাচ্ছে আমেরিকার এতো মাথা ব্যথা কেন?
কারণ খুবই সহজ। political isolation এর দিকে আমেরিকা
যতো বেশি এগুবে ততোবেশি পরিমাণ আমেরিকার বাজার সম্প্রসারণ ঘটবে, গুরুত্ব বৃদ্ধিপাবে,
শক্তিমত্তা প্রদর্শিত হবে। কিউবার সবচেয়ে বড় সফলতা হলো diplomatic benefits এবং আস্থা
অর্জন করতে পারে উন্নয়নশীল বা অনুন্নত রাষ্ট্রগুলোর কাছ থেকে। পশ্চিমা বাহিনী চায় না
এই অঞ্চলগুলো diplomatic benefits কিউবা কে দিক। কেননা এই অঞ্চলগুলো
হাত ছাড়া হয়ে পড়লে সমরাস্ত্রের বাজারের ধ্বংস অনিবার্য। শুধু তাই নয়, কর্পোরেশনগুলোর “মুনাফাভিত্তিক বাজারজাত” করণ রোহিত
হলে বাজার সম্প্রসারণে আমেরিকা চরম মার খেয়ে যাবে।
ভেনিজুয়েলার সবচেয়ে অন্যতম বিষয়টি হলো সে supply
cheap fuel এর জোগানদাতা বর্তমান বিশ্ব। ইতালীতে যখন শত শত মানুষ মারা যাচ্ছে তখনও
চীন ইতালীতে পৌছে যাচ্ছে ডাক্তার ,মেডিকেল সাপ্লাই সহ। ক্ষেত্রবিশেষে রাশিয়াও সাপ্লাই
অব্যাহত রেখেছে। আমেরিকার এদের নিয়ে মাথা ব্যথা হবে না কাদের নিয়ে হবে? কারণ আগেই বলেছি,
এখন ক্রোনা মহামারীর এই কালে দাঁড়িয়ে বিশ্বে পশ্চিমাদের মতাদর্শিক যুদ্ধে জয়ী হবার
জন্যে পশ্চিমারা নিজেদের গায়ে Fundamentalist Capitalism and Imperial Nihilism এর
জামা পড়েছে যেন যে কোনোভাবে যেকোনো উপায়েই কৌশলী এবং আক্রমনাত্নক প্রচার করে সমাজতান্ত্রিক
মতাদর্শ, উৎপাদিত পণ্যের সহজসুলভ বাজারজাতকরণ এবং মানবিকতাকে আক্রমণ করা যায়। এটাই
“ Western Value” এবং এই নিহিলিজমের পথ ধরে নতুন করে হিউম্যানিজমকে গঠন করতে চায়। যেই
হিউম্যানিজমের মূল বাক্য হলো পশ্চিমা মূল্যবোধ দ্বারা গঠিত ব্যবস্থাপনা। এর জন্যে তার
গুরুত্বপূর্ণ ফিল্ড হলো হংকং, ফ্রান্স,জার্মানী,ব্রিটেন ।
একটা জর্জ অরওয়েলের লেখা আপনাদের দিচ্ছি পারলে একটু পড়ে নিবেন-
Now I will tell you the answer to my question. It is this.
The Party seeks power entirely for its own sake. We are not interested in the
good of others; we are interested solely in power. Not wealth or luxury or long
life or happiness; only power, pure power. What pure power means you will
understand presently. We are different from all the oligarchies of the past in
that we know what we are doing. All the others, even those who resembled
ourselves, were cowards and hypocrites. The German Nazis and Russian Communists
came very close to us in their methods, but they never had the courage to
recognize their own motives. They pretended, perhaps they even believed, that
they had seized power unwillingly and for a limited time, and that just round
the corner there lay a paradise where humans beings would be free and equal. We
are not like that. We know that no one ever seizes power with the intention of
relinquishing it. Power is not a means; it is an end. One does not establish a
dictatorship in order to safeguard a revolution; one makes the revolution in
order to establish the dictatorship. The object of persecution is persecution.
The object of torture is torture. The object of power is power. Now do you
begin to understand me?
George Orwell, 1984, 1949
Comments
Post a Comment