জটিল রাজনৈতিক চলচ্চিত্রের উত্থান (১৯৬০ থেকে ১৯৭০ সাল)- তাত্ত্বিক ও ঐতিহাসিক পর্যালোচনা। (পর্ব-১)
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী পৃথিবীতে ১৯৬০ সাল পর্যন্তও পশ্চিমা পরাশক্তি আমেরিকা ও পূবের বলিষ্ঠ সোভিয়েত এর মধ্যকার দ্বন্দ্ব নিরসন কোনোভাবেই এক টেবিলে বসে সমাধান করা সম্ভব হচ্ছিলো না। পৃথিবী সেই সময় দেখেছে "বাইপোলার" (দ্বিমেরুকরণের) রাজনীতি। ১৯৬০ এর সালটি আরো গুরুত্বপূর্ণ কারণ এই সময়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীতে পৃথিবীর বুকে আরো নতুন রাষ্ট্রের জন্ম হয় অনেকগুলো, উপনিবেশের প্রত্যাখ্যান ও সেই সাথে উপনিবেশকদের প্রস্থান, সার্বভৌমত্বের জন্য বিদ্রোহ ও বিপ্লব সংঘটিত হয়। ফলে "Third Worldism" এর উৎপত্তি হয়। এভাবে সেই রাষ্ট্র যে শুধু সত্য স্বাধীনতাই পেল তা নয়, ইতিহাসের পথ পরিক্রমায় সে নিজেকে ধারাবাহিক বৈষম্য-নিগ্রীহিত ও নিপীড়নের মধ্যে আবিষ্কার করেছে।
অর্থনৈতিক উন্নতি সাধন এই রাষ্ট্রগুলির প্রধান লক্ষ্য ছিল স্বাধীনতার পর পরই। পূর্ব ও পশ্চিম এই দুই ক্যাটাগরিতে পৃথিবী আরো আলাদা হয়ে গেল। স্বাধীনতা পরবর্তী তবুও অনেক সমস্যাই জটিল আকার ধারণ করেছে। কিউবা,ভিয়েতনাম ও মধ্য প্রাচ্যে রাজনৈতিক চাপ, স্বৈরশাসন, বিদেশী কূটনৈতিক চাপ। যার ফলে সৃষ্টি হয় গৃহযুদ্ধ,জাতিগত দ্বন্দ্ব, রাজনৈতিক ভাবে শোষিত। ১৯৬০ এর পরবর্তী তাই র্যাডিকাল দৃষ্টিকোণের ব্যক্তিরা মনে করলেন - সার্বভৌমত্ব,জাতীয়তাবাদ,অর্থনৈতিক বিকাশ ও রিফর্মেশন এগুলো অত্যাধিক জরুরি নয় বা গুরুত্বপূর্ণ নয় ডেভেলপমেন্টের জন্যে। মিলিট্যান্ট গ্রুপের ব্যক্তিবর্গরা বিশ্বাস করেন, রাষ্ট্র অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলোর সৃষ্টি হয়েছে মূলত উপনিবেশিক সময়কাল হতেই । উপনিবেশ থাকাকালীন সকল ব্যবস্থাপনায় শ্রেণী প্রক্রিয়া বা "Class System" সৃষ্টির ফলে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব এর শিকার এবং সামাজিকভাবে অবহেলিত হতে হচ্ছে। যার সমাধান এই ধারণা, স্ট্রাকচারকে নতুন করে সাজিয়ে নতুন স্ট্রাকচার গঠন করতে হবে যার মূল ভূমিকা হয়ে পালন করবে সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন। এরই মধ্যে সিঙ্গাপুর,সাউথ কোরিয়া, তাইওয়ান ও মেক্সিকো পরিণত হলো ম্যানুফ্যাকচারিং সেন্টার হিসেবে, ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশনের ফলে এই সকল রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে পুঁজিবাদের চূড়ান্ত নিয়ামকগুলো প্রবেশ করছিলো সেই সময়কালে।
যে সকল রাষ্ট্রগুলো স্বাধীনতা পরবর্তী অসমতা ও নিয়ন্ত্রণহীন রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় ঝুকে পড়েছে সেই সকল স্বাধীন দেশে নতুন করে আন্দোলনের প্রয়োজন দেখা দিলো। জণসাধারণকে অগ্রসর করানো হলো সামাজিক পরিবর্তনের তাগিদে, বাধা-বিপত্তি, আন্দোলন-বিদ্রোহ-বিপ্লব এর দ্বারা। ১৯৬০ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত তখন হয়ে উঠেছিলো রাজনৈতিক অস্ত্র এবং মানবাধিকারের চরম বন্ধু আকারে। ফিল্মমেকারদের মধ্যে রাজনৈতিক এক্টস গুলো হয়ে উঠলো স্বাধীন ও সার্বভৌমত্বের জন্যে, শ্রেণীর বিরুদ্ধাচরণের উদ্দেশ্যে, মানুষের পক্ষে। মিড ১৯৬০ তাই বেশিরভাব থিওরিস্টরা বলে থাকেন, "Cinema as a tool of social change and a weapon of political liberation."
পশ্চিম ইউরোপ ও দক্ষিণ আমেরিকার পরিবর্তনকামী নব্য ধারার মার্ক্সবাদী-লেফট উইং চিন্তাবিদেরা নানাভাবে সেই সময়কালে পশ্চিমা সরকারকে ক্রিটিসাইজ করা শুরু করলেন। তাদের পলিসি, শিক্ষানীতি ও প্রাতিষ্ঠানিক নিয়মনীতির বিরুদ্ধে, অর্থনৈতিক মন্দার জবাব এবং অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে নানাভাবে মন্তব্য করা শুরু করলেন। (এখানে বলে রাখা প্রয়োজন যে মধ্য ১৯৬০ এর দিকে কেনসীয় অর্থনৈতিক তত্ত্ব-বেকারত্ব দূরীকরণ ও প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য যে মডেল উপস্থাপন করেন লেফট উইং ইন্টেলেকচুয়াল তার বিরুদ্ধে বলেন এটি ধ্বং বয়ে আনবে। ১৯৭০ এর দিকে আসলেও ধ্বংস হয়ে পড়েছিল) এরই মধ্যে গণতান্ত্রিক মানবতাবাদ নিয়ে যেখানে ক্রিটিক্সরা কাজ করবার সূচনা করতে বলেছিলেন সেখানে পশ্চিমাদের মূল লক্ষ্য ছিল ভ্রান্ত/বিভ্রম/ অলীক গণতন্ত্রকে "Illusory Democracy" প্রতিষ্ঠা করা। সেই সাথে "দমনমূলক আইন ও বিচার" ব্যবস্থা গঠনের তাদের আগ্রহ চূড়ান্ত রূপেই ছিল। সুতরং স্বাধীন দেশে নতুন করে বিপ্লব ও বিদ্রোহের সূচনা মূলত "Political culture of Dissent" - মতবিরোধের রাজনৈতিক সংস্কৃতি।
তৃতীয় বিশ্বের রাজনৈতিক চলচ্চিত্র ও তত্ত্বঃ-
ল্যাটিন আমেরিকা ,আফ্রিকাতে সর্বপ্রথম এমন নতুন জনরার চলচ্চিত্রে নিজেকে উপস্থাপন করে যা তৃতীয় বিশ্বের রাজনৈতিক চলচ্চিত্র বলে পরিচিত। এই জনরার বৈশিষ্ঠ্যসমূহ নিম্নরূপ-
১। গণ মানুষের সংগ্রাম ও চেতনার ঐতিহাসিক পর্যালোচনা, যেই কষ্ট বা সংগ্রাম সংগঠিত হয়েছিল রাজতন্ত্র, উপনিবেশবাদ ও সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে।
২। এক্সাইল ফিল্ম, যেগুলো উপস্থাপন করে সমাজের প্রতিটি একক ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে যাদের মূল কেটে ফেলা হয়েছিল ও শোষণ করা হয়েছিল। অন্যপ্রান্তে নিজের মাতৃভূমির প্রতি আবেগ ও ভালোবাসার জাগরণ দেখানো।
৩। উপনিবেশবাদের সময় যে জাতিগত চেতনা ও জাতীয়তাবাদকে আমরা হারিয়েছিলাম তাকে পুনরুদ্ধার করা জাতিগত সংস্কৃতির উপাদান ও তত্ত্ব ব্যবহার করে।
৪।লোকসংস্কৃতির গুরুত্ব,পূর্বপুরুষের ইতিহাস ও সংগ্রাম এবং জাতিগত বৈশিষ্ঠ্যসূচক অনুষ্ঠান ইত্যাদিকে তুলে ধরবার কলাকৌশল যা স্থানীয় ভূমির গুরুত্বকে তুলে ধরে সেই সাথে বর্তমান রাজনৈতিক অঙ্গন বনাম নিজস্ব অধিকারের মধ্যে একটি পরিষ্কার আলোচনার জন্ম দেয়।
৫। হলিউডের টেকনিক্যাল সিনেমার উপর নির্ভরশীলতাকে চ্যালেঞ্জ করে নিজস্ব সংস্কৃতির স্টাইলকে গ্রহণ করা। সেই সাথে শ্রেণীগত দ্বন্দ্বকে প্রশমিত করবার লক্ষ্যে শ্রেণী বিভাজন দূর করা অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ভাবে।
৬। সিনেম্যাটিক স্টাইলে ক্যামেরাকে বাস্তব প্রকৃতিতে ব্যবহার করা, বল ও শক্তি ও গতির যেন এক প্রকাশ থাকবে ক্যামেরা মুভমেন্টে এবং অগ্রসরতা।
* কিউবাঃ বিপ্লবী সিনেমা-
১৯৫৯ সালে প্রেসিডেন্ট বাতিস্তার চলে যাওয়ার পর ফিদেল কাস্ট্রো তার গেরিলা বাহিনী নিয়ে হাভানাকে নিজস্ব দখলের মধ্যে নিয়ে আসেন। কাস্ট্রো আসার পর কিউবা জুড়ে ভূমির উপর শোষকের হাতকে নিস্ক্রিয় করে দেয়, জাতীয়করণ করে প্রতিটি অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান এবং অবকাঠামোকে। ঠিক সেই সময়কালেই কাস্ট্রো সরকার প্রথম যে এক্ট প্রণয়ন করে তা হলো,
ICAIC (Cuban Institute of Film Art and Industry) । কিউবান সংস্কৃতি ও বৈষম্য নিরসনে এই প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠে কিউবার মধ্যমণি ও প্রাণকেন্দ্র।
প্রতিষ্ঠানটি এবার শুরু করলো হরেক রকমের চলচ্চিত্র বানানোর কাজ। সরকারি খরচের পরিমাণ এতো বেশি ছিল যে, কিউবার চলচ্চিত্র বাজার হয়ে উঠলো প্রোডাকশন বেজ। প্রোডাকশনের আকার দাড়ালো বিশাল, অধিক কর্মজীবীদের আগমণ,টেকনিক্যাল সাপোর্ট এবং সরকারী সাবসিডিও জোরালো পর্যায়।
ICAIC ১৯৬০ থেকে তার যাত্রা শুরু করলো ডকুমেন্টারির কাজ থেকে। অর্থাৎ নতুন ধারার বাস্তবতাকে সৃষ্টি করবার জন্যে ফিকশন ফিল্ম থেকে নিজেদের গুটিয়ে ডকুমেন্টারির দিকে ধাবিত করলো একগাদা পরিবর্তনকামী মানুষেরা। সরকারী পলিসি বনাম পশ্চিমা শক্তির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের লড়াই ছিল এ পর্যায়ে ফিল্মমেকারদের অন্যতম বিষয়বস্তু। এগুলোকে বলা হয় 'নয়া কিউবান ডকুমেন্টারি'- যেমনঃ "Now(1965)" "Hanoi(1967)" "Tuesday the 13th (1967)" "79 springtime(1969)"
স্টক ফুটেজ,টাইটেল এর অনবদ্য ব্যবহার,এনিমেশন এবং শব্দগ্রহণ প্রক্রিয়ায় নান্দনিক কলাকৌশল জণগণকে উৎসাহিত করেছে। কিউবার চিন্তাধারার সাথে তৎকালীন সোভিয়েতের চিন্তাধারায় মিল ছিল এবং তা হলো "Socialist Realism"। তবুও কিউবা নিজেকে সোভিয়েৎ থেকে আলাদা করে স্বাতন্ত্র্যসূচক বৈশিষ্ঠ্য ধরে রেখেছে- সিনেম্যাটিক ভঙ্গি, গল্প বলবার স্টাইল, প্লট ও চিত্রনাট্য রচনা, গতিময়তা, ছবি গ্রহণ কৌশল ইত্যাদিতে। এই জন্য কিউবার সিনেমাকে বিপ্লবী সিনেমা ও সোভিয়েতের বলা হয় সমাজতান্ত্রিক বাস্তবতাবাদী চলচ্চিত্র।
কিউবার ব্যাপারে যে তত্ত্বটি অধিক গুরুত্বপূর্ণ তা হলো রাজনৈতিক আধুনিকতাকে সে নিজের মতো করে সাজিয়েছে যা সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী। এই তত্ত্ব টেকনিক্যাল কাজে প্রবেশ করে যেখানে আধুনিক কলাকৌশল ও ভাষাকে নিজস্ব আর্টের সাহায্যে সাজানো হয়। শুধু মাত্র নিজস্ব জাতির সংস্কৃতির মানুষকে একই ছাতার নিচে আনার তাগিদে। আলফ্রেডো গুয়েভারার মতে - "এই কালচার প্রকাশ করবার ক্ষমতা রাখে যেখানে সকল ধরনের কারসাজি আর গোপনে থাকে না,বাস্তবেই তা মানুষের হয়ে উঠে সিনেম্যাটিক ভঙ্গিতে।" ফলে তিনি দেখালেন ইউরোপিয়ান আর্ট সিনেমা যতোটা না ক্যামেরা মানুষের জন্য হয়ে উঠে তার চেয়ে বেশি কিউবান মুভমেন্ট মানুষের জন্যে।
এলিয়া এর "Death of Bureaucrat (1966)" চলচ্চিত্রটিই লক্ষ্য করা যাক, যা সোশ্যালিস্ট জনরার। যেই চলচ্চিত্রে আমলাতন্ত্রের মধ্যকার জটিল প্রক্রিয়াকে উপস্থাপন করা হয় এবং সেই সিস্টেমকে নিয়ে উপহাস করা হয়। তার সমস্যা গুলি যে তার নিজের সেই বিষয়টি চোখে আঙ্গুলে ধরিয়ে দেয়। এদিকে "The Charge of Machete" তে গোমেজ ঐতিহাসিক সংগ্রামকে তুলে এনে জাতির হাতে বিশাল পুরষ্কার তুলে দেন। এই চলচ্চিত্র তখন হয়ে উঠে বৈষম্যের বিরুদ্ধে হাতিয়ারের যন্ত্র হিসেবে। কিউবান ডিরেক্টররা তখনই বুঝতে পারলেন হলিউড যাকে "Imperfect Cinema" বলে তা তাদের কাছে মুক্তির যন্ত্র - 'এ সিনেমা পপুলার বিষয়াদিকে নির্দেশ করে, সমস্যাগুলিকে চিহ্নিত করে এবং নতুনভাবে সংস্কারের তাগিদ অনুভব করতে শেখায়।'
![]() |
Death of Bureaucrat (1966) |
![]() |
The Charge of Machete |
কিউবান ডিরেক্টরদের মধ্যে সোভিয়েত মর্ডানিস্ট টেকনিক গুলো এরই মাঝে প্রবেশ করতে শুরু করে। সোভিয়েত মন্তাজ হলো দুটি শটের মিলনে বা দুটি ভিন্নধারার ভাবার্থের সংযোজনে তৃতীয় নব্য শক্তির জন্মগ্রহণ প্রক্রিয়া যা সিনেমাটোগ্রাফিতে, এডিটিং ও ডিজাইনিং এ অধিক পরিমাণ প্রভাব বিস্তার করে। কিউবা এইসকল ফর্মুলাকে নিয়ে তার প্রোপাগান্ডিস্টিক সিনেমা বানাবার প্রয়াস পায়।
যেমন গোমেজের 'Days of Water(1971)' এই সিনেমাটি অত্যাধিক গুরুত্বপূর্ণ । এখানে সেই মন্তাজ ব্যবহার করা হয় যা ভৌগোলিকভাবে পার্থক্য সৃষ্টি করে নিজেদের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত করে, এন্টি আমেরিকানাইজেশন তত্ত্বকে প্রসার ঘটায় এবং ম্যাসাকারের দৃশ্য উপস্থাপন করা হয়। (ব্যাটেলশিপ পটেমকিনে সিনেমায় জার তন্ত্রের বিরুদ্ধে যে ম্যাসাকার হয় এবং কর্তৃত্বমূলক সরকারের পতন- ঠিক সেভাবেই উপস্থাপন করা হয়।)
মিড ১৯৭০ পর্যন্ত পৃথিবীজুড়ে কিউবান সিনেমা বৈপ্লবিক তত্ত্ব আকারে উপস্থাপিত হয়। সিনেমা নোভোস গ্রুপ চমৎকার ভাবে সাফল্য অর্জন করেছে এলিট শ্রেণীর মধ্যেও। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত কিউবার মাটিতে পপুলার সিনেমার জন্ম ঘটলো, সৃষ্টি হলো পুলিশ থ্রিলার "The strange Case of Rachel(1973)" এবং ওয়েস্টার্ন জনরার মতোই "The man from Maisinicu(1973)"। চলচ্চিত্রগুলো এবার আবিষ্কার করলো নতুন চিন্তাধারা,নতুন যুগের সিনেমার দিকে অগ্রসর হলো কিউবা।
(লেখাটি সম্পূর্ণ ইতিহাসনির্ভর এবং সংক্ষিপ্ত ইতিহাস। প্রতিটি চলচ্চিত্রের আলাদা আলাদা দর্শন ও মনস্তত্ত্ব রয়েছে তা বিস্তারিত পরে ব্যাখ্যা হবে। আগামী পর্ব আর্জেন্টিনা ও কিউবার সিনেমা নিয়ে)
bhalo likecen
ReplyDeleteঅসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে😄
Delete