Posts

Showing posts from May, 2019

"বিশ্ববিদ্যালয়" আসলে কিসের জন্য এবং কেন? একটি ইতিহাসের উপর বিশ্লেষণ।

Image
-   বিশ্ববিদ্যালয় সবারই একটি স্বপ্ন,একটি আশ্বাসের নাম। কারণ এই মাত্রায় তাকে মুখোমুখি হতে হয় নতুন এক জীবনের সন্ধানে যেখানে সে মেটাতে পারবে তার মনের আশা। কাড়ি কাড়ি টাকার স্বপ্ন দেখে প্রত্যেক ছেলে মেয়ে, পরিবারের স্বপ্ন থাকে অনেক বেশি বড় কিছু হবে, টাকা পয়সা ইনকাম করে সংসার জগত এবং নিজের খরচ চালাবে। আর বিসিএস কিংবা বিজনেস করলে তো কথাই নেই, পড়ালেখা কিসের অফিশিয়াল সম্মান আগের ব্যাপার স্যাপার। আরেকদলের স্বপ্ন থাকে পড়ালেখা মুখস্ত করে ডিপার্টমেন্টে চমৎকারভাবে বা ঐশ্বরিকভাবে মুখস্ত বিদ্যা অর্জন করে ভালো নম্বর তুলতে পারবে। ক্লাসে তার মূল আখ্যান বা ব্যাখ্যা না বুঝে বইয়ে কি লাইন লিখা আছে সেটি মুখস্ত করেই ব্যাস হয়ে গেল তার ফার্স্ট ক্লাস রেজাল্ট। আবার অনেকে তো কে কি বললো কোনো কিছুই মাথা ঘামায় না, হালকা পড়ে কোনোভাবে রেজাল্ট নিয়ে বিজনেসে নামার টার্গেট তার। অসম্ভব ভালো মানের টাকা কড়ি অর্জন করতে পারবে। আবার অনেকে আছে কিছু না বুঝেই ঝরঝর করে শব্দভান্ডার গলাঃধকরণ করবার চেষ্টা করে আপ্রাণ ভাবে, তার কাছে সেই পদক্ষেপে বুঝে নেওয়াটা যেন লজ্জাস্কর ব্যাপার স্যাপার। অনেকে তো আছে বলে বেড়ায় পড়ে লাভ কি! ভবিষ্যৎ...

প্লেটোর আদর্শরাষ্ট্রব্যবস্থা পদ্ধতি এবং শিক্ষাপদ্ধতি

Image
প্লেটোর আদর্শরাষ্ট্রব্যবস্থা পদ্ধতি এবং শিক্ষাপদ্ধতি দর্শনের ইতিহাসে সক্রেটিস এর পরবর্তী একজন    অতীব গুরুত্বপূর্নব্যক্তি এবং সেই সাথে সত্যানুসন্ধানী ও জ্ঞানানুশীল দার্শনিক যিনি ছিলেন তার নাম প্লেটো ।   খ্রিষ্টপূর্ব ৪২৭ অব্দে তার জন্ম এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে ।   প্লেটোর দর্শন জীবনে যে ব্যক্তিটির সর্বোচ্চ প্রভাব ছিল তিনি সক্রেটিস ।   শৈশব থেকে ই সক্রেটিসের সাথে প্লেটোর পরিচয় এবং তার সক্রিয় প্রভাবেই তিনি হয়ে উঠেন জ্ঞান - সত্য - কল্যাণের পথিক । প্লেটোর দার্শনিক মতামতের প্রধান উপকরন ছিল -  শব্দ - বচন - সংলাপ ।   কিছু কিছু জায়গা এতোই চমৎকার রচনাশৈলীর উপস্থিতি কিন্তু কোথাও কোথাও খুব দূর্বোধ্য । তার   রচিত   বহু   গ্রন্থ   রয়েছে   এবং   প্লেটোর   নামে   মোট   ছত্রিশটি   গ্রন্থ   প্রচলিত   আছে।   এগুলো   একত্রে   প্লেটোর   “ডায়ালগ” নামে পরিচিত। এই ডায়ালগ থেকেই প্লেটোর আদর্শ রাষ্ট্রচিন্তা এবং শিক্ষাপদ্ধতি নিয়ে একটি আলোচনা করা দরকার। আদর্শরাষ্ট্রব্যবস্থাপদ্ধতি প্রথমেই...

আহমেদ ছফা: বাঙালী মুসলমানের মন এবং তার দর্শনচিন্তা।

Image
“বাঙালী মুসলমান সমাজ স্বাধীনচিন্তাকেই সবচেয়ে বেশি ভয় করে ।   তার মনের আদিম সংস্কারগুলো কাটেনি । সে কিছুই গ্রহণ করে না মনের গভীরে ।   ভাসাভাসা ভাবে অনেক কিছুই জানার ভান করে,আসলে তার জানাশোনার পরিধি খুবই সংকুচিত । বাঙালী মুসলমানের মন এখনো একেবারে অপরিণত । সবচেয়ে মজার কথা,এ একথাটা ভুলে থাকার জন্যই সে প্রাণান্তকর চেষ্টা করতে কসুর করে না ।  ”       -আহমেদ ছফা । আমরা বর্তমান সময়, অর্থাৎ ২১ শতকে দাঁড়িয়ে আহমেদ ছফাকে চিনিই না এমন কোনো ব্যক্তি পাওয়া সত্যি মুশকিলের কাজ ।   তার লিখা  “ গাভীবৃত্তান্ত ”, “ যদ্যাপি আমার গুরু ”, “ অলাতচক্র ”, “ অর্ধেক নারী অর্ধেক ঈশ্বরী ”  ইত্যাদি বইগুলোর সাথে আমরা কম পরিচিত ।   জনসমাজের প্রতি স্তরের মানুষ এবং তরুণদের মধ্যে এই বইগুলো বেশ জনপ্রিয় ।   অনেকেই ভেবে থাকেন আহমেদ ছফা বুঝি শুধুই সাহিত্যিক বা কবি, এগুলো ছাড়া তার আর অন্য কোনো পরিচয় নেই ।   কিন্তু আসলে এই আহমেদ ছফা শুধু মাত্র কবি - সাহিত্যিকই যে ছিলেন তা মোটেও সত্য নয় ।   তিনি বাংলার ইতিহাসে একজন প্রখ্যাত ও বিখ্যাত দার্শনিকও ছিলে...